কোরবানির পশু কেনাবেচার জন্য গঠিত অস্থায়ী হাট সংলগ্ন এলাকায় ২০ জুলাই রাত ৮টা পর্যন্ত ব্যাংকিং সুবিধা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অন্যান্য এলাকায় আগামীকাল ১৯ জুলাই শেষ ব্যাংকিং কর্মদিবস।
কিন্তু ঢাকা সিটির দুই করপোরেশন এলাকায় ২০ জুলাই রাত ৮টা পর্যন্ত ব্যাংকিং সুবিধা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
পশুরহাট সংলগ্ন এলকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপশাখা ও এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে এ সেবা দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
ব্যাংকগুলো হাট এলাকায় বুথ স্থাপন করেও ব্যাংকিং সেবা দিতে পারবে। কিন্ত ঢাকা সিটির বাইরে ও সারা দেশের কুরবানির পশুর হাট এলাকার জন্য কেনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।
এ নিয়ে খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঢাকার পাশাপাশি সারা দেশের পশুরহাটের জন্য এ সুবিধা দেয়া উচিত। নইলে এ প্রজ্ঞাপেনর উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত বিষয়টি ভেবে দেখা।
গতকালের প্রজ্ঞাপনে উলেখ করা হয়, ১৯ জুলাই সোমবার বর্ধিত সময়ে বিকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকবে।
এছাড়া ঈদের ছুটির প্রথম দিন তথা ২০ জুলাই সকাল ১০ টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকবে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে কোরবানির পশুর হাটগুলোয় অধিক সংখ্যক ব্যবসায়ীর সমাগম ঘটে এবং বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের লেনদেন হয়। এ কারণে এই এলাকাগুলোয় আর্থিক লেনদেনের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোরবানির পশুর হাটগুলোর কাছাকাছি নিকটবর্তী ব্যাংকের শাখা-উপশাখা ব্যবহার করে কোরবানির পশু বিক্রির অর্থ লেনদেনে ব্যাংকের সহায়তা সহজে গ্রহণ করতে পারেন সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এছাড়া বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে কোরবানির পশুর হাটে চলমান কোরবানি পশুর হাটগুলোয় স্থাপিত বুথসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখা/ উপশাখায় আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতাসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট শাখা/উপশাখা ও বুথগুলোয় অতিরিক্ত সময়ে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ ভাতা দেয়ার বিষয়েও বলা হয়েছে।
Discussion about this post