এই প্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রোগীর বুক না কেটে অ্যাওরটিক ভালভ বসানো হলো। অস্ত্রোপাচারে নেতৃত্ব দেয়া চিকিৎসক মোস্তফা জামান বলেন, প্রয়োজনীয় সহায়তা পেলে দেশেই উন্নত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। এতে রোগীর জীবন রক্ষার পাশাপাশি বাঁচবে চিকিৎসার বাড়তি খরচ।
হৃৎপিন্ডে অ্যাওরটিক ভালব প্রতিস্থাপনের পর মনোবল বেড়েছে রায়পুর লক্ষীপুর থেকে আসা ৭৩ বছর বয়সী মোস্তাফিজুর রহমানের। তিনি বলেন, আমি চাই দেশের মানুষ এখানে এসেই চিকিৎসা গ্রহণ করুক।
অস্ত্রোপাচারে নেতৃত্ব দেয়া চিকিৎসক মোস্তফা জামান বলেন, এই ধরণের অপারেশন নতুন একটি অভিজ্ঞতা। আমরা উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশে এই অপারেশন করেছি।
যেহেতু এই ধরণের ভালভগুলো বিদেশ থেকে আসে এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল সেহতু তারা যদি পৃষ্ঠপোষকতা করে তাহলে বাংলাদেশেই এই ভালভ তৈরি করা সম্ভব।
অ্যাওরটিক ভালভ’র কাজ সম্পর্কে এবং হৃৎপিন্ডের কাজ সর্ম্পকে অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান বলেন, হার্ট সংকুচিত হলে খুলে যায় অ্যাওটিক ভালভ।
হার্ট প্রসারিত হলে ভালভ বন্ধ হয়ে যায়। অতএব অ্যাওরটিক ভালভে গন্ডগোল হলে রক্ত সংবহনেও তৈরি হয় অব্যবস্থা।
সাধারণত ৬০-৬৫ বছর বয়সের পরে অ্যাওরটিক ভালভের এই ধরণের সমস্যা শুরু হতে পারে। ডা. জামান টাভি সর্ম্পকে বলেন আগে অ্যাওটিক ভালভে সমস্যা হলে, এই ভালভ প্রতিস্থাপন করতে হলে ওপেন হার্ট সার্জারির সাহায্য নিতে হতো।
সেক্ষেত্রে রোগীর বুকে প্রায় ৭-৮ ইঞ্চি ক্ষত তৈরি হতো। এমনকী অপারেশনের সময় রোগীকে রাখতে হতো হার্ট-লাং মেশিনের তত্ত্বাবধানে। টাভি পদ্ধতিতে এত কাটাছেঁড়া করার দরকার পড়ে না। রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। দুই থেকে তিনদিনের বেশি হাসপাতালে থাকতে হয় না।
Discussion about this post