লকডাউনে ঘরবন্দি সময় কেনাকাটার জন্য বাইরে যাওয়ার উপায় ছিল না। সেই সময়টায় অনলাইনই ছিল একমাত্র ভরসা। দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থেকে শুরু করে জামাকাপড়, আসবাবপত্র কিনতে অনলাইনেই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলেন দেশের একটা বড় অংশের মানুষ।
তবে বর্তমানে করোনার চোখরাঙানি কমলেও সেই অভ্যাস রয়ে গেছে এখনও। মার্কেটে ঘুরে জিনিসপত্র কেনার জন্য সময় নষ্ট করতে চান না কেউ।
বাড়ি বসে অর্ডার দিলে পছন্দের সামগ্রী পৌঁছে যায় একেবারে দোরগোড়ায়। আবার বিভিন্ন দিবস সামনে রেখে নানা অফার তো রয়েছেই। এসবের কারণে দিন দিন সবাই শপিংয়ে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন অনলাইনের প্রতি।
তাই অনলাইন প্রতারণার থেকে বাঁচতে কিছু বিষয় জেনে নিতে পারেন
-অচেনা কোনো ই-কমার্স সাইটে নিজের ব্যাংক অথবা ডেবিট কার্ডের তথ্য দেবেন না। শুধু জনপ্রিয়, পরিচিত অনলাইন শপিং সাইট থেকেই শপিং করুন।
-ইমেইলে কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে অনেক সময় নানা লিংক আসে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও অনেক অচেনা লিংক পেতে পারেন। সেখানে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য না দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
-অনলাইন লেনদেনের সময় দেখে নিন সিকিউরিটি সকেট লেয়ার এনক্রিপটেড রয়েছে কি না। কীভাবে বুঝবেন? যে URL-টি ওপেন করেছেন, দেখে নিন লিংকটির বাঁ-দিকে HTTPS-এর ‘S’ আছে কি না। অনেক সময় HTTP থাকে। S না থাকলে এড়িয়ে যান।
-পরিচিত ওয়েবসাইটের নাম ও লুক ভাঙিয়ে ফাঁদ পাতে প্রতারকরা। তাই ডোমেন যাচাই করে নেয়া জরুরি। দেখে নিন যে সাইটটি থেকে শপিং করবেন ভাবছেন, সেটির বানান ঠিক আছে কি না। অদ্ভুত কিছু অ্যাড্রেস থেকে লিংক মেইল করা হয়। সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
-অনেক সময় কোনো কোনো অচেনা ই-কমার্স সাইট অবিশ্বাস্য কিছু অফার দিয়ে থাকে। লোভে পড়ে সেই ফাঁদে পা দেবেন না। তাহলেই বিপদ। আইফোন কিংবা ব্র্যান্ডের টিভি কখনও ৮০ শতাংশ ছাড়ে পাওয়া যায় না। তাই বুদ্ধি খাটিয়ে শপিং করুন।
-মাঝে মধ্যে নিজের ইমেলের পাসওয়ার্ড বদলে ফেলুন। বদলে ফেলতে পারেন ডেবিট কার্ডের মোবাইল পিন কোডও। পাশাপাশি লেনদেনের সময় OTP ভেরিফিকেশন করে নিলেও অনেকটাই নিরাপদে থাকবেন।
Discussion about this post